হাদীস : “যে চুপ থাকলো, সে নাজাত পেল।”

হাদীস: “যে চুপ থাকলো, সে নাজাত পেল।” জবানের হিফাজত, কথা কম বল

কেন চুপ থাকাকে এত গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে?
কারন জিহ্বা দ্বারা সংশ্লিষ্ট গুনাহগুলো আমাদের ভালো আমলগুলোকে নষ্ট করে দেয়।

📌 এবার জেনে নেয়া যাক জিহ্বা দ্বারা সৃষ্ট কবিরা গুনাহ সমূহ— 

  • মিথ্যা কথা বলা
  • মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া
  • মিথ্যা শপথ করা
  • গুজব ছড়ানো 
  • চোগলখোরি করা বা একজনের কথা অন্যজনকে বলে বেড়ানো
  • গীবত বা পরনিন্দা করা
  • অপবাদ দেওয়া
  • খোঁটা দেওয়া
  • অভিশাপ দেয়া
  • গালি দেওয়া
  • ঠাট্টা করা
  • কাউকে খারাপ নামে ডাকা
  • অন্যের দোষ প্রচার করা

আমরা সারাদিনে যত কথা বলি তার বেশিরভাগই দেখা যায় অপ্রয়োজনীয় এবং মিথ্যাচার ও গীবতে পরিপূর্ণ। অথচ মুখ নিঃসৃত প্রতিটি শব্দই লিপিবদ্ধ হচ্ছে।

⚫ মহান আল্লাহ বলেন —

مَا یَلۡفِظُ مِنۡ قَوۡلٍ اِلَّا لَدَیۡهِ رَقِیۡبٌ عَتِیۡدٌ ۝ 

“মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে, তার জন্য একজন প্রহরী নিযুক্ত আছে, যে (লেখার জন্য) সদা প্রস্তুত।”  (সূরা ক্বফ : ১৮)

চলুন, একটু ভেবে দেখি! 
ধরুন, হাশরের ময়দানে দেখা গেল আমাদের নেকীর চেয়ে গুনাহের পাল্লা ভারী।
আশ্চর্য! 
কখনো কারো ক্ষতি করিনি, কারো প্রতি অন্যায় করিনি, তারপরো এ অবস্থা কেন? তখন উত্তর আসবে-

"এগুলো তোমার মুখ নিঃসৃত পাপের ফল।"


📌 এ জন্যই আল্লাহর রসূল (স.) বলে গেছেন—


"অধিকাংশ মানুষ জিহ্বা দ্বারা সংঘটিত পাপের কারনে জাহান্নামে যাবে।"   (তিরমিযি : ১৬১৮)


🤔 তাহলে কী করনীয়? 

এর সমাধানও আল্লাহর রসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) দিয়ে গেছেন—

”مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللّٰهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ.“

"যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে নতুবা চুপ করে থাকে।" (বুখারী)

”مَنْ صَمَتَ نَجَا“

“যে চুপ থাকলো, সে নাজাত পেল।” (তিরমিযী)

⚠️ আমাদের জবানকে কন্ট্রোল করতে পারছি তো? 
নাকি জবানই আমাদের কন্ট্রোল করছে?
একটু আত্মসমালোচনা করি...

Comments