♥১) আল্লাহ তালার নাম নিলে ভয়ে অন্তর কেঁপে উঠবে
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَىٰ رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ
সাচ্চা ঈমানদার তারা, যাদের সামনে আল্লাহকে স্মরণ করা হলে তাদের হৃদয় কেঁপে ওঠে৷ আর যখন আল্লাহর আয়াত তাদের সামনে পড়া হয়, তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা তাদের রবের ওপর ভরসা করে। (সূরা আনফাল ২)
♥২) আল্লাহ তালার সাথে কক্ষনো শিরক করে না-
لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ
তারা আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্যকে ডাকে না। (সূরা ফুরকন ৬৮)
♥৩) নিজেদের লজ্জা স্থানের হেফাজত করে-
وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ
তারা নিজেদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। (সূরা মুমিনুন ৫)
♥৪) জিনা (ব্যভিচার) করে না-
وَلَا يَزْنُونَ
তারা ব্যভিচার করে না৷ (সূরা ফুরকন ৬৮)
♥৫) খুশু সহকারে নামাজ আদায় করে-
الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ
وَالَّذِينَ هُمْ عَلَىٰ صَلَوَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ
(তারা) যারা নিজেদের নামাযে বিনয়াবনত হয় এবং নিজেদের নামাযগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করে। (সূরা মুমিনুন ২, ৯)
♥৬) পিতা মাতার প্রতি বিরক্তিসূচক উফ্ শব্দও করে না-
فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ
তাদেরকে “উহ্” পর্যন্তও বলো না (সূরা ইসরা : ২৩)
♥৭)অযথা এবং বাজে কাজ থেকে দূরে থাকে :
وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَ
(তারা) যারা বাজে কাজ থেকে দূরে থাকে। (সূরা মুমিনুন ৩)
♥৮)জান ও মাল দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে।
♥৯) কক্ষনোই ধারণা করে কাজ করে না-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ
মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক; কেননা কিছু ধারণা গোনাহ। (সূরা হুজুরত:১২)
♥১০) মূর্খদের সাথে কখনো তর্ক করে না-
وَإِذَا خَاطَبَهُمُ الْجَاهِلُونَ قَالُوا سَلَامًا
মূর্খরা তাদের সাথে কথা বলতে থাকলে সালাম বলে দেয় (সূরা ফুরকন ৬৩)
♥১১) নিন্দুকের নিন্দাকে পরওয়া করে না-
وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ ۚ
তারা আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা ও সাধনা করে যাবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করেনা (সূরা মায়েদা ৫৪)
♥১২) কখনোই মিথ্যা কথা বলবে না-
وَالَّذِينَ هُمْ لِأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ
নিজেদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে
♥১৩) আমানতের খিয়ানত করে না।
♥১৪) প্রতিশ্রুতি দিলে রক্ষা করে।
♥১৫) পরিপুরন ভাবে যাকাত আদায় করে।
♥১৬) ইয়াতিমের হক নষ্ট করে না।
♥১৭) রাস্তায় অবস্থান রতদের সাহায্য করে।
♥১৮) কাফিরদের সাথে শক্ত দিল আর মুমিনদের সাথে সৌহার্দপূর্ণ আচরন করে।
♥১৯) মানুষের ভুল ভ্রান্তিকে ক্ষমা করে।
وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ ۗ
অন্যের দোষ –ক্রটি মাফ করে দেয়। (সূরা আলে ইমরান ১৩৪)
♥২০) সর্বাবস্থায় শুধু আল্লাহ তায়ালার উপরেই ভরসা করে।
♥২১) শুধু মাত্র মুমিনদেরকেই বন্ধু হিসেবে গ্রহন করে।
♥২২) অভাব অনটন এবং সচ্ছলতায় সর্বাবস্থায় দান করে।
♥২৩) রাগান্বিত হলে রাগকে দমন করে।
وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ
যারা ক্রোধ দমন করে (সূরা আ লি ইমরান ১৩৪)
♥২৪) মুশরিকদের দেব- দেবীকেও গালি দেয় না।
وَلَا تَسُبُّوا الَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ
হে ঈমানদারগণ! এরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে ডাকে তোমরা তাদেরকে গালি দিয়ো না। (সূরা আনআম : ১০৮)
♥২৫) অন্যায় ভাবে কাউকে হত্যা করে না।
♥২৬) আল্লাহর আয়াতকে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে না।
♥২৭) জেনে বুঝে সত্যকে গোপন করার চেষ্টা করো না।
♥২৮) মানুষকে একথা বলতে পারবে না যে “আমি মুসলিম নই’’।
♥২৯) কোন নবী-রসূলের মধ্যেই পার্থক্য করে না।
♥৩০) পৃথিবীর বুকে নম্রভাবে চলাফেরা করে। (সূরা ফুরকান ৬৩)
♥৩১) সঠিকভাবে ওজন করে, ওজনে কম দেয় না। (সূরা আনআম ১৫২)
♥৩২) হালাল এবং পাক পবিত্র জিনিস খায়। (সূরা বাকারা ১৬৮)
♥৩৩) কখনোই মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করে না। (সূরা ফুরকান ৭২)
♥৩৪) পেঁচিয়ে কথা বলে না। (সূরা নিসা ১৩৫)
♥৩৫) মানুষকে ন্যায়সঙ্গত ভাবে শাসন করে।
♥৩৬) অভাব অনটনের কারনে সন্তান হত্যা করে না।
♥৩৭) কখনোই শপথ ভঙ্গ করে না।
♥৩৮) মান্নত পূরণ করে। (সূরা দাহর : ৭)
♥৩৯) আল্লাহকে প্রদত্ত ওয়াদা পালন করে। (সূরা রদ :২০)
♥৪০) নিকটাত্মীয়দের সাহায্য করে। (সূরা বাকারা ১৭৭)
♥৪১) অসুস্থ এবং মুসাফিরদের সাহায্য করে। (সূরা বাকারা ১৭৭)
♥৪২) নিঃস্ব এবং দরিদ্রদের সাহায্য করে। (সূরাবাকারা ১৭৭)
♥৪৩) দুঃখ, দুর্দশা এবং যুদ্ধের সময় ধৈর্য করে। (সূরা বাকারা ১৭৭)
♥৪৪) আল্লাহর দেওয়া রিজিক থেকে দান করে।
♥৪৫) রাতে কম ঘুমায়-
كَانُوا قَلِيلًا مِّنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُونَ
রাতের বেলা তারা কমই ঘুমাতো। (সূরা যারিয়াত ১৭)
♥৪৬) চেহারায় সিজদার চিহ্ন থাকবে।
سِيمَاهُمْ فِي وُجُوهِهِم مِّنْ أَثَرِ السُّجُودِ
তোমরা দেখবে যে তাদের চেহারায় সিজদার চিহ্ন বর্তমান, যা দিয়ে তাদেরকে আলাদা চিনে নেয়া যায়। (সূরা ফাতহ ২৯)
♥৪৭) মানুষকে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়।
♥৪৮) যেটা প্রকাশ হয়ে পড়লে লজ্জিত হতে হয় এমন বিষয়ে প্রশ্ন করে না। (সূরা মাঈদাহ ১০১)
♥৪৯) কাজ করার আগে মাশয়ারা (পরামর্শ) করে -
وَأَمْرُهُمْ شُورَىٰ بَيْنَهُمْ
নিজেদের সব কাজ পরস্পর মাশয়ারার (পরামর্শের) ভিত্তিতে চালায়। (সূরা শুরা ৩৮)
♥৫০) বাড়াবাড়ি করা হলে তার মোকাবিলা করে-
وَالَّذِينَ إِذَا أَصَابَهُمُ الْبَغْيُ هُمْ يَنتَصِرُونَ
তাদের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি করা হলে তার মোকাবিলা করে। (সূরা শূরা ৩৯)
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে এই আয়াতসমূহের আলোকে জীবন গঠন করার তওফিক দান করুন।
দুয়াপ্রার্থী—সেখ সালাম আলী
Comments
Post a Comment