অধিকাংশ মানুষ জানেই না কেন মুসলমানদের কাছে মসজিদুল আকসা এতটা গুরুত্বপূর্ণ❓
যেখানে ইহুদিরা সমগ্র ফিলিস্তিনই দখল করে নিয়েছে, সেখানে মাত্র ১৪ একর জায়গার জন্য কেন এত অত্যাচার নির্যাতনের পরেও ফিলিস্তিনের মুসলমানরা বারবার মসজিদের দিকে ধাবিত হচ্ছে?
কারণ —
◾পবিত্র কুরআনের মধ্যভাগে মহান আল্লাহ এই মসজিদ নিয়ে আলোচনা করছেন।
◾এখানেই রয়েছে হযরত ইব্রাহীম (আ:) এবং মূসা (আ:) সহ অসংখ্য নবী রসূলের কবর।
◾ মিরাজ রজনীতে এখানেই মহানবী মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সকল নবী রসূলদের এবং ফেরেস্তাদেরকে নিয়ে নামাজ পড়েছিলেন।
◾এখান থেকেই মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুরাকে করে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করার উদ্দেশ্যে উর্ধ্বজগতে যাত্রা করছিলেন।
◾এর সাথে জড়িয়ে আছে খলিফা হজরত উমর (রা) এঁর সেই উটের বিরল ঘটনা।
◾এই স্থানের সাথেই জড়িয়ে আছে সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবীর অসংখ্য স্মৃতি।
◾এই মসজিদের নির্মাণের সাথে জড়িয়ে আছে হজরত আদম এবং সুলাইমান আলাইহিসসালাম এর নাম।
◾এই মসজিদের নির্মাণের জন্য জ্বীনদের দ্বারা পাথর তুলে আনা হয়েছিল সাগরের গভীর তলদেশ থেকে। যা কোন মানুষের পক্ষে অসম্ভব!
এই মসজিদের পাথরের গায়ে লেখা রয়েছে সম্পূর্ণ সূরা ইয়াসিন।
◾ এই মসজিদটি মুসলমানদের প্রথম কিবলা। প্রথমে এর দিকেই মুখ করে নামাজ আদায় করতে হতো। মদিনায় হিজরতের দ্বিতীয় বছরে কিবলা পরিবর্তনের ওহী নাজিল হয়।
◾এই মসজিদে নামাজ আদায় করলে প্রতি রাকাআতের জন্য আমল নামায় ২৫ হাজার রাকাআত নামাজের পরিমাণ সওয়াব লেখা হয়।
___________
📌 ❝আল্লাহর পক্ষ হতে সাহায্য ও আসন্ন বিজয় এবং (হে রাসূল!) আপনি মুমিনদেরকে (এর) সুসংবাদ শুনিয়ে দেন।❞
📌 "তোমাদের কেউ যদি কোনো খারাপ কাজ বা বিষয় দেখে তাহলে সে যেন হাত দিয়ে তা পরিবর্তন করে দেয়, যদি তা করতে অপারগ হয় তাহলে যেন মুখ দিয়ে তার প্রতিবাদ করে, যদি তাও করতে সক্ষম না হয় তাহলে যেন অন্তর দিয়ে তা ঘৃণা করে, আর এটাই হচ্ছে ঈমানের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বলতম স্তর।" (বুখারি, হাদিস নং: ১৯৪)
Comments
Post a Comment