১৭ রমযান, ২ হিজরী সন
- সাহাবীদের চোখে কাফিরদের সংখ্যা কম করে দেখানো।
- বদর প্রান্তরে ফেরেশতা অবতরণ।
- শয়তানের আতঙ্কিত অবস্থায় পলায়ন।
- মুসলিমদের / ইসলামের একতরফা বিজয়।
🟢 يَوْمُ الْفُرْقَان (সত্য-মিথ্যা পার্থক্যকারী দিন) :
বদর প্রান্তরে সাহাবীদের কারো হাতে অস্ত্র আছে, কেউ সম্পূর্ণ খালি হাতে, অধিকাংশের জুতো নেই, নেই পর্যাপ্ত উট আর ঘোড়া। অপরদিকে শত্রু বাহিনী পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে হাজির। সংখ্যায় তিনগুণেরও বেশি দেখা যাচ্ছে। বিজয়ের ধ্বনি গেয়ে এগিয়ে আসছে দ্রুত বেগে রক্তপিপাসু দল।
এমতাবস্থায় আপনি কী করতেন? আমরা কি পারতাম এমন যুদ্ধে স্থির দাঁড়িয়ে থাকতে, চোখের সামনে মৃত্যু দেখেও?
সাহাবীরা (রা.) পেরেছিলেন, বদর যুদ্ধের সেই দিনে তাঁরা রচনা করেছিলেন ইসলামের এক নতুন ইতিহাস। আর তাই কুর'আনের ভাষায় দিনটিকে বলা হয় يَوْمُ الْفُرْقَان অর্থাৎ সত্য-মিথ্যা পার্থক্যকারী দিন।
ঐদিন পাঁচ হাজার ফেরেশতা ঐ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, ফলে আসমানের ফেরেশতাদের মাঝে শ্রেষ্ঠ ফেরেশতা হবার মর্যাদা তাঁরা পেয়েছিলেন। সেইসাথে যে ৩১৩ জন সাহাবীরা এতে অংশগ্রহণ করেছিল, তাঁরা হয়েছেন দুনিয়াবাসীদের মাঝে সেরা। বদর যুদ্ধ এবং এই যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবীদের জীবনীতে রয়েছে মুসলিমদের জন্য মূল্যবান শিক্ষা।
🟢 শিক্ষা :
১| সংখ্যা কখনো হক্ব প্রতিষ্ঠার মানদন্ড নয়।
২| আল্লাহর উপর ভরসা করে বান্দা আল্লাহর দিকে ক্বদম ফেললে, আল্লাহর সাহায্য তার দিকে ছুটে আসে।
৩। চরম প্রয়োজনে মহান আল্লাহ বান্দাকে আশাতীত উপায়ে সাহায্য করে থাকেন।
৪| ঈমানের সর্বোচ্চ চূড়া জিহাদ। এতে অংশগ্রহণ করলে গায়েবী মদদ চলে আসে। নি:সন্দেহে মহান আল্লাহ বিজয় দেন। লোকসংখ্যা কোন বিষয় নয়।
৫। আল্লাহর ভালোবাসা নিখাদ। আল্লাহ মুমিনদেরকে যথাসময়ে অবশ্যই সাহায্য করেন। বান্দার সকল খবর আল্লাহ জানেন।
৬। অন্যদিকে কাফিররা একদম কোনঠাসা। তাদের কোন সাহায্যকারী নেই। কিচ্ছুক্ষণ তাদের সাথে শয়তান যাও ছিল, ফিরিশতা দেখা মাত্রই পালিয়ে যায়।
৭। আল্লাহ্ বান্দার পরীক্ষা নেন। যার পরীক্ষা যত বড় তার পুরস্কার দুনিয়া ও আখিরাতে তত বেশি।
رَضِيْتُ بِاللّٰهِ رَبًّا
وَّ بِالْاِسْلَامِ دِيْنًا
وَّ بِمُحَمَّدٍ ﷺ نَّبِيًّا
“র'দ্বীতু বিল্লাহি রব্বাউ
ওয়া বিল ইসলামি দ্বীনাউ
ওয়া বি মুহাম্মাদিন (স.) নাবীয়্যা।”
Comments
Post a Comment