হাশরের দিন আল্লাহর আরশের ছায়া পাবেন কারা?

কেয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের ছায়া পাবেন কারা?

হাশরের ময়দানে সীমাহীন কঠিন অবস্থার মধ্যেও সাত শ্রেণির মানুষ আল্লাহর আরশের ছায়াপ্রাপ্ত হবেন। 

মহানবী (স.) বলেছেন, আল্লাহ সাত শ্রেণির মানুষকে হাশরের দিন তার আরশের ছায়ায় স্থান দেবেন। সে দিন ঐ ছায়া ছাড়া অন্য কোনো ছায়া থাকবে না। তারা হলেন —

১) ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ

২) ঐ যুবক, যে যৌবনকলে আল্লাহর ইবাদত করেছে।

৩) ঐ ব্যক্তি, যার অন্তর সর্বদা মসজিদের সঙ্গে লেগে থাকে।

৪) ঐ দুই ব্যক্তি, যারা পরস্পরকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ভালোবাসে, উভয়ে তারই সন্তুষ্টির জন্য একত্র হয় এবং তারই সন্তুষ্টির জন্য পৃথক হয়।

৫) যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে, আর তার দুই চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে পড়ে।

৬) ঐ ব্যক্তি যাকে কোনো সম্ভ্রান্ত ও সুন্দরী নারী কুপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করার প্রস্তাব দেয়, আর তখন সে বলে আমি আল্লাহকে ভয় করি।

৭) ঐ ব্যক্তি যে এমন গোপনতার সঙ্গে দান-সদাকা করে, যে তার বাঁ হাতও জানে না তার ডান হাত কী দান করে। 

 (বুখারী, মুসলিম)


◾কিয়ামতের দিন ঈমানদারদের চেহারা হবে উজ্জ্বল এবং তারা হবে সফলকাম। আর পাপীদের চেহারা হবে কালো, কুৎসিত। আল্লাহ বলেন—

"সেদিন কিছু লোকের চেহারা উজ্জ্বল হবে, আর কিছু লোকের চেহারা হবে কালো।"  (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১০৬)

"অপরাধীরা সেদিন নিজ নিজ চেহারা দ্বারাই চিহ্নিত হয়ে যাবে এবং তাদের কপালের চুল ও পা ধরে টেনে-হিঁচড়ে নেওয়া হবে। (সুরা রহমান: ৪১)

◾কেয়ামতের মাঠে সব প্রাণীকে দুনিয়ার প্রতিশোধ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। অতঃপর জীবজন্তুকে বলা হবে—মাটি হয়ে যাও। তখন সবাই মাটি হয়ে যাবে। পাপীরা সামনে কঠিন বিপদ দেখতে পেয়ে আফসোস করে বলবে—হায়! যদি আমিও মাটি হয়ে যেতাম, তবে খুব ভালো হতো। (সূরা নাবা)

Comments