নামাজে মনোযোগী হবার একটি বিশেষ পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো—
♥ যদি নামাযে যা পড়ি বুঝে পড়ার চেষ্টা করি তাহলে ইন-শা-আল্লাহ নামাজে মনোযোগ থাকবে।
♥নামাজ শুরু করার আগে পড়ুন—
আউ’যুবিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্বনির রাজিম
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
♥নামাজে মনোযোগী হতে এক বিশেষ হাদীস👇
হাদীসে এসেছে—
সূরা ফাতিহার প্রতি আয়াত তিলাওয়াত করার সাথে সাথেই আল্লাহ এর জওয়াব দেন। এহাদীসের কথাগুলো এমন আবেগময় ভাষায় বলা হয়েছে এক একটি আয়াত পড়ার পর আল্লাহর প্রেমময় জওয়াবটা মনের কানে শুনবার জন্য আপনাকে থামতেই হবে। আল্লাহর জওয়াবে যে তৃপ্তি ও শান্তি তা তারাই বোধ করতে পারে, যারা আয়াতগুলো ধীরে ধীরে মজা নিয়ে পড়ে।
হাদীসটি নিম্নরূপ:👇
হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি নামাজকে আমার ও আমার বান্দাহর মধ্যে দু-ভাগে ভাগ করেছি। আর আমার বান্দাহ আমার নিকট যা চায় তাই পাবে।
♥বান্দাহ যখন বলে,
‘‘আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।”
(অর্থ : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তালার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের রব। )
তখন আল্লাহ বলেন, “ আমার বান্দাহ আমার প্রশংসা করল।”
♥যখন বান্দাহ বলে— “আর রাহমানির রাহীম”।
(অর্থ : যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। )
তখন আল্লাহ বলেন আমার বান্দাহ আমার গুণ গাইল”
♥যখন বান্দাহ বলে— “মালিকি ইয়াওমিদ্দীন ”
(অর্থ : যিনি বিচার দিনের মালিক।)
তখন আল্লাহ বলেন “আমার বান্দাহ আমার গৌরব বর্ণনা করল”
♥যখন বান্দাহ বলে— "ইয়্যাকা না বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাঈন"
(অর্থ : আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।)
তখন আল্লাহ বলেন “এ বিষয়টা আমার ও আমার বান্দাহর মাঝেই রইল। আর আমার বান্দাহর জন্য তাই দিলাম যা সে চাইল।
(অর্থাৎ আমার ও আমার বান্দাহর মধ্যে এ চুক্তি হলো যে, সে আমার কাছে চাইবে, আর আমি তাকে দেব)।
♥যখন বান্দাহ বলে -
"ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম সিরাতাল্লাযীনা আন আমতা আলাইহিম গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওয়ালাদ্ব দ্বললীন” (আমিন)
(অর্থ : আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।”)
তখন আল্লাহ বলেন এটা আমার বান্দাহর জন্যই রইল আর আমার বান্দাহর জন্য তা ই যা সে চাইল।”
সুবহানাল্লাহ!
Comments
Post a Comment