কুরআনে বিজ্ঞান

কুরআনে বিজ্ঞান
◾ বিজ্ঞান এখন জেনেছে চাঁদের নিজস্ব আলো নেই। কিন্তু পবিত্র কুরআনে (সূরা ফুরক্বানের ৬১ নং আয়াতে) এই কথা বলা হয়েছে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে।

◾ বিজ্ঞান মাত্র দুশো বছর আগে জেনেছে চন্দ্র ও সূর্য কক্ষপথে ভেসে চলে কিন্তু পবিত্র কুরআনে (সূরা আম্বিয়া ৩৩ নং আয়াতে) এই কথা বলা হয়েছে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে।

◾ পবিত্র কুরআনে (সূরা কিয়ামাহ’র ৩ ও ৪ নং আয়াতে) প্রায় দেড় হাজার বছর আগেই জানানো হয়েছে - মানুষের আঙ্গুলের ছাপ (finger print) দিয়ে মানুষকে আলাদা ভাবে সনাক্ত করা সম্ভব। যা আজ প্রমাণিত।

◾ জলচক্রের কথা বিজ্ঞান এখন জেনেছে কিন্তু পবিত্র কুরআনে (সূরা যুমার ২১ নং আয়াতে) এই কথা বলা হয়েছে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে।

◾ বিজ্ঞান এই সেদিন জেনেছে সমুদ্রে নোনা পানি ও মিঠা পানি মিশ্রিত হয় না। কিন্তু পবিত্র কুরআনে (সূরা ফুরকানের ২৫ নং আয়াতে) এই কথা বলা হয়েছে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে।

◾ নবী মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ডানদিকে কাত হয়ে ঘুমাতেন। ডানদিকে কাত হয়ে ঘুমানো সুন্নাত। ইসলাম ডানদিকে কাত হয়ে ঘুমাতে উৎসাহিত করেছে।  বিজ্ঞান এখন বলছে ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমালে হার্ট খুব ভালো থাকে।

◾ বিজ্ঞান এখন আমাদের জানাচ্ছে পিপীলিকা মৃতদেহ কবর দেয়, এদের বাজার পদ্ধতি আছে। কিন্তু পবিত্র কুরআনের সূরা নামল এর ১৭ ও ১৮ নং আয়াত প্রায় দেড় হাজার বছর আগেই এই বিষয়ে ধারণা দিয়েছে।

◾ ইসলাম মদপানকে হারাম করেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে মদ পান লিভারের জন্য ক্ষতিকর।

◾ ইসলাম শুকরের মাংসকে হারাম করেছে। বিজ্ঞান এখন বলছে শুকরের মাংস লিভার, হার্টে সহ অন্যান্য অঙ্গের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

◾ রক্তসঞ্চালন এবং দুগ্ধ উৎপাদন এর ব্যাপারে চিকিৎসা বিজ্ঞান জেনেছে কিছু বছর আগে। কিন্তু পবিত্র কুরআনে (সূরা মুমিনূনের ২১ নং আয়াতে) এই বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে।

◾ মানুষের জন্মতত্ত্ব, ভ্রুনতত্ত্ব সম্পর্কে বিজ্ঞান জেনেছে কিছু বছর আগে। কিন্তু পবিত্র কুরআন (সূরা আলাকে) এই বিষয়ে জানিয়ে গেছে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে।

◾ ভ্রুনতত্ত্ব নিয়ে বিজ্ঞান এখন জেনেছে (পুত্রসন্তান হবে কিনা কন্যাসন্তান হবে) তা পুরুষই নির্ধারক। কিন্তু পবিত্র কুরআন ( সূরা নজমের ৪৫, ৪৬ নং আয়াত, সূরা কিয়ামাহ’র ৩৭-৩৯ নং আয়াত) এই কথা জানিয়েছে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে।

◾ গর্ভে থাকা শিশু আগে কানে শোনার ক্ষমতা পায় তারপর ক্ষমতা পায় চোখে দেখার। পবিত্র কুরআন ( সূরা সাজদাহ আয়াত নং ৯ , ৭৬ এবং সূরা ইনসান আয়াত নং ২ ) প্রায় দেড় হাজার বছর আগের এক অনুন্নত অযান্ত্রিক পৃথিবীতে ভ্রুনের বেড়ে ওঠার স্তরগুলো নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছে। যা প্রমাণিত।

◾ পৃথিবী দেখতে কেমন? এক সময় মানুষ মনে করত পৃথিবী লম্বাটে, কেউ ভাবত পৃথিবী চ্যাপ্টা , সমান। কিন্তু পবিত্র কুরআন প্রায় দেড় হাজার বছর আগে জানিয়ে দিয়েছে পৃথিবী দেখতে অনেকটা উট পাখির ডিমের মত প্রায় গোলাকার।

◾ পৃথিবীতে দিন-রাত  বাড়া-কমার রহস্য মানুষ জেনেছে দুশো বছর আগে। কিন্তু পবিত্র কুরআন (সূরা লুকমানের ২৯ নং আয়াতে) এই কথা জানিয়ে গেছে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে।

আমাদের সমস্যা হল — আমরা সব কিছুই জানি। যারা নাস্তিক তারাও জানে। পার্থক্যটা হল — 'বোধ'। যেমন ধরুন- একজন নেশাখোর জানে যে নেশা করলে তার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে, তবুও সে নেশা করে। সব জেনেশুনেও আমরা খারাপ কাজগুলো করে থাকি। বিষয়টা অজ্ঞাতার নয় বিষয়টা হলো  'বোধ' এর।
এই বোধটা আমাদের থাকতে হবে।
---
শেয়ার করতে ভুলবেন না,কারন এটা আপনার দ্বায়িত্ব। 
আল্লাহ্ বলেন—“ঐ ব্যাক্তির কথার চেয়ে ভালোকথা আর কার হতে পারে যে  মানুষকে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, নিজে সৎকর্ম করে এবং বলে আমি একজন সাধারণ মুসলিম।” ( সূরা হা-মিম সিজদাহ্ : ৩৩)
নবীজী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন— “আমার পরে সবচেয়ে বড় দানশীল ব্যাক্তি সে, যে কোন বিষয়ে জানলো এবং অন্যকে তা জানালো।” ( বায়হাকী)

Comments