পরবর্তীতে রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পবিত্র কা'বা বাইতুল্লাহ্ শরীফের দিকে ফিরে নামায আদায় করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে মহান আল্লাহ্ পাক তা অনুমতি প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত: যে মসজিদে নামাযরত অবস্থায় প্রিয়নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পবিত্র কা'বা বাইতুল্লাহ্ শরীফের দিকে ফিরে নামায পড়ার ইচ্ছা করছিলেন, সেই মসজিদটি এখনো মদীনা শরীফে অবস্থিত। বর্তমানে মসজিদটির নাম 'মসজিদে ক্বিবলাতায়ীন'। অর্থাৎ, দুই (মসজিদে আক্বসা ও মসজিদে হারাম) ক্বিবলার মসজিদ।
মসজিদে আক্বসা-তে জড়িয়ে রয়েছে বিস্ময়কর ইতিহাস। বহু নবী-রসূল মসজিদে আকসাতে মহান আল্লাহ্ রব্বুল আলামীন এঁর ধ্যানে ও ইবাদাতে মগ্ন থাকতেন। আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)অসাল্লাম- এঁর মি'রাজ গমন এখান থেকেই প্রারম্ভ হয়েছিল।
পৃথিবীর সর্ব প্রথম ঘর কা'বা বাইতুল্লাহ্ শরীফ এবং দ্বিতীয় ঘর মসজিদে আক্বসা। উল্লেখ্য, পবিত্র কা'বা বাইতুল্লাহ্ শরীফ নির্মাণের ৪০ বছর পর পবিত্র মসজিদে আক্বসা নির্মিত হয়।"
সুধী পাঠক/পাঠিকা! মসজিদে আক্বসা-র উপরোক্ত সংক্ষিপ্ত, সুবিন্যাস্ত ও স্বচ্ছ ইতিহাস থেকে আপনারা নিশ্চয় অনুধাবন করতে পেরেছেন যে—
"মসজিদে আক্বসা আসলে মুসলমানদের অমূল্য ও ঈমানী সম্পদ। তৎসহ পবিত্র ও ধর্মীয় তীর্থস্থান। এবং পাপিষ্ঠ অভিশপ্ত 'ইহুদী জাতির' মসজিদে আক্বসার উপর কোন অধিকার নেই; এ- কথাই সত্য ও স্বচ্ছ ইতিহাস নন্দিত, সমাদৃত।"
◾মসজিদে আক্বসার উপর ইহুদীদের অন্যায় আচরণ ও আক্রমন:
অভিশপ্ত ইয়াহুদী সম্প্রদায় মসজিদে আক্বসা জোরপূর্বক জবরদখল করতে চেয়েছে বারংবার। মুসলমানদের ইবাদাত- বন্দেগীতে আঘাত হেনেছে অসংখ্যবার। অসংখ্য মুসলমানদের রক্তপাত ঘটিয়েছে । বহু মুসলিম মহিলাকে বিধবা করেছে এবং বহু মুসলিম বাচ্চাদের এতীম করেছে নির্দয় ইহুদী জাতি। বহু মুসলিম শিশুদের 'মা' হারা করেছে এই অসভ্য অভিশপ্ত ইহুদী জাতি।
বিশেষভাবে ফিলিস্তীনী মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় বারংবার আঘাত হানছে গায়ের জোরে মানবতার চরম শত্রু ইহুদী জাতি। ইজরাইলের নৃশংস অত্যাচারে ফিলিস্তীনবাসীর মরাদেহ পৃথিবীবাসী যা দেখেছে এবং দেখছে, পৃথিবীর মানচিত্রে এত #মরাদেহ একসাথে পৃথিবীবাসী আর কখনো দেখেনি।
উল্লেখ্য, ইহুদী জাতি অর্থাৎ ইজরাইল অন্যায়ভাবে এবং গায়ের জোরে ফিলিস্তীন দখল করে রেখেছে। ফিলিস্তীনের মুসলমানেরা অভিশপ্ত ইহুদী জাতির ষড়যন্ত্র রুখতে, অন্যায়কে বলি দিতে, মসজিদে আক্বসার সম্মান রক্ষা করতে, নিজেদের আত্মমর্যাদা বুঝে নিতে, নিজেদের দেশকে স্বাধীন করতে, নিজেদের ধর্মীয় স্বাধীনতা আদায় করতে আজ তাঁরা নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে যুদ্ধের ময়দানে নেমেছেন।
কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় হল— এই সভ্যতার পৃথিবীতে অনেক অসভ্য বুদ্ধিজীবী ফিলিস্তীনীদের জঙ্গি এবং সন্ত্রাসের তকমা দেওয়ার প্রয়াস চালাচ্ছেন। কিন্তু নামধারী বুদ্ধিজীবি নামের প্রতিবন্ধীরা একেবারে ভুলে গেছেন যে, ফিলিস্তীনবাসীরা নিজেদের ঈমান, জীবন, সম্পদ, স্থাবর, অস্থাবর, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, সামাজিকতা, পারিবারিকতা সবকিছুকে বজায় রাখতেই যুদ্ধের ময়দানে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
আর ফিলিস্তীন সম্পর্কে কিছু মিডিয়ার নোংরামি আর বাঁদরামি তৎসহ জালিয়াতি আর মিথ্যাচার এত উচ্চ শিখড়ে পৌঁছেছে— যা বলার অতীত।
◾মসজিদে আক্বসা সম্পর্কে প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এঁর ভবিষ্যৎ বাণী— "মসজিদুল আক্বসা মুসলমানেরা ফিরে পাবে এবং বিজয়ী লাভ করবে। আর ইহুদীরা নিপাত যাবে এবং শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করবে।"
اللهم انصر من نصر دين محمدﷺ. اللهم اخذل من خذل دين محمدﷺ.
يا ذا الجلال والاكرام. بحرمة سيد المرسلين. وبرحمتك يا ارحم الراحمين. والحمد لله رب العالمين. (آمين)
Comments
Post a Comment