সদাকাতুল ফিতর: গুরুত্ব ও ফযীলত:
◾প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যার মালিকানায় মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে বাহান্ন তোলা রুপার মূল্য পরিমাণ সম্পদ রয়েছে, তার ওপর সদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব। প্রত্যেকে তার নিজের ও নিজের পরিবারের পক্ষ থেকে এবং নাবালেগ সন্তানের পক্ষ থেকে ফিতরা বা সদাকাতুল ফিতর আদায় করবে।
রোজা রাখতে গিয়ে যে ভুলত্রুটি হয়ে যায় তার কাফফারা স্বরূপ সদাকাতুল ফিতর বা ফিতরার বিধান দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি রোজা রাখার মাধ্যমে রোজাদার কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে পেরেছে অনাহারে থাকা অন্ন-বস্ত্রহীন মানুষগুলোর কষ্ট।
রমযান শেষে ঈদের দিন ঐসব মানুষগুলোর মুখেও যেন ফুটে ওঠে আনন্দের রেখা, তাদের ঘরেও উত্তম খাবারের ব্যবস্থা হয় সেজন্য বিত্তবানদের উপর ওয়াজিব করা হয়েছে সদাকাতুল ফিতর বা ফিতরা।
📌 হাদীস:
فَرَضَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ زَكَاةَ الْفِطْرِ طُهْرَةً لِلصّائِمِ مِنَ اللّغْوِ وَالرّفَثِ، وَطُعْمَةً لِلْمَسَاكِينِ، مَنْ أَدّاهَا قَبْلَ الصّلَاةِ، فَهِيَ زَكَاةٌ مَقْبُولَةٌ، وَمَنْ أَدّاهَا بَعْدَ الصّلَاةِ، فَهِيَ صَدَقَةٌ مِنَ الصّدَقَاتِ.
অনুবাদ : হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফিতরার বিধান দান করেছেন রোজাদারকে অর্থহীন ও অশ্লীল কথা ও কাজ থেকে পবিত্র করার জন্য এবং মিসকীনদের খাবারের ব্যবস্থা হিসাবে। যে ব্যক্তি তা (ঈদের) নামাযের আগে আদায় করবে সেটা গ্রহণযোগ্য সদকা (ফিতরা) হিসাবে গণ্য হবে। আর যে (ঈদের) নামাযের পরে আদায় করবে, সেটা শুধু সাধারণ সদকা হিসাবে বিবেচিত হবে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৬০৯)
অর্থাৎ নিজের রোজাকে বিশুদ্ধ করার জন্য এবং ঈদের দিন অসহায়দের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ঈদের নামাজে যাওয়ার আগেই ফিতরা আদায় করে দিতে হবে ; নতুবা সেটা ফিতরা হিসাবে বিবেচিত হবে না।
দুয়াপ্রার্থী—সেখ সালাম আলী
Comments
Post a Comment