গীবত বা পরনিন্দা কী? গীবত থেকে বাঁচার কিছু উপায়:

⚫ গীবত কী?

গীবত আরবী শব্দ। যার অর্থ পরনিন্দা। গীবত করা হারাম। আমরা অনেকসময় আমাদের অজান্তেই গীবত করে ফেলি। অমুক কেমন কেমন পোশাক পরে, অমুকের রান্না ভালো না, অমুক মোটা, অমুক কালো, দেখতে একদম ভালো না ইত্যাদি এই ধরনের কথা বলাও এক ধরনের গীবত। তাই এই ধরনের কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। 

অমুক এই এই কাজ গুলো ভালো করেনি।অমুকের এই এই স্বভাব ভালো না। অমুকের নামে এই এই বদনাম আছে।ওমুক আমার এই এই ক্ষতি করছে। এগুলো বলা মানে মানুষের দোষ নিয়ে কথা বলা যে টা গীবতের অন্তর্ভুক্ত।

⚫ গীবত থেকে বাঁচার কিছু উপায়:

◾যতটা সম্ভব কম কথা বলাই ভালো, চুপ থাকাও একটা ইবাদত।

◾কথা বলার আগে ভেবে চিন্তে কথা বলুন। 

◾কারো সম্পর্কে বেশি কথা বলতে যাবেন না। কারণ ভালো কথা বলতে গিয়েও শয়তান আপনাকে দিয়ে কখন যে গীবত করিয়ে নেবে আপনি টেরই পাবেন না।

◾অতি প্রয়োজন ছাড়া লোকসমাগম জায়গা এড়িয়ে চলুন। কেননা যেখানে মানুষ বেশি থাকে সেখানেই সাধরনত গীবত বেশি হয়।

◾গীবত করে খেয়াল হলেই সাথে সাথে থেমে গিয়ে বলবেন- “ছিঃ! ছিঃ! আমি তো গীবত করে ফেলছি!” আস্তাগফিরুল্লহ্ !”    তওবা করবেন। 

◾আপনার কাছে কেউ গীবত করলে তাকে থামিয়ে দেবেন। সম্ভব হলে তাকে গীবতের ভয়াবহতা বুঝিয়ে বলবেন। কারণ গীবত করা ও গীবত শোনা দুটোই হারাম।

 

📌 কাউকে নিয়ে কোন অভিযোগ থাকলে সেটা আমরা আল্লাহর কাছে বলার অভ্যাস করবো। পারলে তাকে ক্ষমা করে দেব। মানুষের কাছে এগুলো নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে উল্টো ভয়ঙ্কর গোনাহ কামানো কোনো বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে না। মনে রাখবেন— গীবত আমাদের নেক আমলগুলো ধ্বংস করে দেয়। অন্যের দোষ ঢেকে রাখলে আল্লাহ তার দোষ ঢেকে রাখেন। 

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে এবং আপনাদেরকে আমল গুলো করার তাওফিক দান করুন। (আ-মীন)